জামি‘আ দারুল হাদীছ

ঈমান ও 'আমলের পূর্বে ইলম বা জ্ঞানার্জন অবশ্যকীয় শর্ত। সঠিক ইলম ছাড়া মহান আল্লাহকে চেনা ও তাঁর নির্দেশিত এবং রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পথে চলা খুবই দুষ্কর। আজ সঠিক ইলম না থাকার কারণে মানুষেরা আখেরাত বিমুখ হয়ে পড়ছে এবং ক্রমশ: দুনিয়ার সেবাদাসে পরিনত হচ্ছে । আদর্শ ও নৈতিকতা অনেকাংশে হারিয়ে যাচ্ছে। দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই পড়ালেখা ও লেবাস পোশাকের দন্যতার স্বীকার। ব্যবসায়িক নিয়্যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও সেগুলোর অধিকাংশই সঠিক জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিনত হচ্ছে না। সনদদারী অনেক আছেন; কিন্তু ইলম ও 'আমলের ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন বলা চলে। পরিতাপের সাথে লক্ষনীয় যে, কুরআন ও সহীহ সুন্নাহের আলোকে ফতোয়া দানকারী আলেমের সন্ধান খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিল। এমনকি অনেক মসজিদের ইমামদের কুরআন তেলাওয়াত শুনলে অবাক লাগে। কখনও ভাবি এধরনের ভুল তেলাওয়াতকারী ইমামদের পিছনে আমার ছালাত শুদ্ধ হবে কি? আরো আশ্চর্য লাগে যখন শুনতে পাই কোন কোন মসজিদের মিনার হতে ভুল উচ্চারণে আযান ধ্বনিত হয়। আফসোস! ইসলামী শিক্ষার এ করুন পরিনতির জন্যে।​
 
 

​উপরোক্তে অবস্থা বিবেচনায় এবং পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয়ে আমাদের মত সহায় সম্বলহীন হয়েও মাদরাসা প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি। লক্ষ্য কেবল হাফেজ ও আলেম তৈরি করা। আর বিনিময়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। সে মতে আমরা ঢাকার অদুরে গাজীপুর মহানগর অন্তগর্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর পশ্চিমে অবস্থিত কাথোরা মহল্লায় “জামি‘আ দারুল হাদীছ” নামে একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে একটি উন্নতমানের নূরানী মক্তবসহ হিফজ বিভাগ এবং মাএ ৮ বছরে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রনিত বিশেষায়িত সিলেবাস সম্বলিত একাডেমিক বিভাগ। অএ বিভাগে একজন যথাযথভাবে অধ্যয়ন করলে সে দাওরায় হাদীস পাশের সনদ লাভ করতে পারবে।  পাশাপাশি জে. ডি. সি. দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে শীর্ষ সাফল্য লাভের সুবর্ণ সুযোগ পাবে। ফলে তাকে আলিয়া ও কওমী মাদরাসার দু'টানায় পড়তে হবেনা। দাওরায়ে হাদীস কোর্স সম্পন্ন করার পর চাইলে ঐ ছাএ দেশে কিংবা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিতে পারবে। আশাকরি সম্মানীত অভিভাবকবৃন্দ আমাদের উপরোক্ত আরজ বিবেচনা করে নিজ সন্তানকে হাফেজ ও আলেম বানাবার এ মহান খিদমতে আমাদেরকে সুযোগ করে দেবেন। মহান আল্লাহ আমাদের নেক নিয়্যাত কবুল করুন! আমীন!!​

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যাবলী

 আরবী ও ইংরেজী ভাষায় সমান দক্ষ করে গড়ে তোলা।
• আলিয়া ও কাওমী মাদ্রাসার সমন্বিত সিলেবাস।
• ইবতেদায়ী, জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় শীর্ষ সাফল্যের লক্ষ্য।
• উন্নত হোষ্টেল ও ডাইনিং ব্যবস্থা। (প্রত্যেক আবাসিক ছাত্রের জন্য পৃথক পৃথক খাটে থাকার সু-ব্যবস্থ)।
• ছাত্রদেরকে ইবাদত-বন্দেগী ও রীতিনীতিতে পূর্নাঙ্গ ইসলামী ভাবধারায় গড়ে তোলা।
• পবিত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহকে জানা ও বোঝায় মনোরম পরিবেশ।
• নিজস্ব জেনারেটর দ্বারা সার্বক্ষনিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা। 
• হিফজুল কুরআন বিভাগের ছাএদেরকে বাংলা, ইংরেজী ও গণিত শিক্ষার স্বতন্ত্র ব্যবস্থা।
• ছাত্রদেরকে আরবী ও ইংরেজী বক্তৃতা শিখানো হয়। 
• সার্বক্ষনিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় বিধায় কাউকে প্রাইভেট পড়তে হয় না।

​আবাসিক ছাত্রদের ২৪ ঘন্টার রুটিন

ভোর

সকাল

দুপুর

ছালাতুল ফজরের প্রস্তুতি ও ছালাত

কুরআন তিলাওয়াত

পাঠ প্রস্তুতি ও বিশেষ ক্লাস

গোছল সকালের নাস্তা ও

ক্লাসের প্রস্তুতি

ক্লাস

জোহরের ছালাত

দুপুরের খাবার

বিশ্রাম

 

বিকাল

​বাদ মাগরিব

বাদ এশা

আসরের ছালাতের প্রস্তুতি ও ছালাত

হাতের লেখা ও বাড়ির কাজ

খেলাধুলা

মাগরিবের ছালাতের প্রস্তুতি ও ছালাত

পাঠ প্রস্তুতি ও বিশেষ ক্লাস

এশার ছালাতের প্রস্তুতি ও ছালাত

রাতের খাবার

পাঠ প্রস্তুতি

ঘুম

 

​বি: দ্র: রুটিনের সময় ঋতু অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এ রুটিন সার্বক্ষনিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে কার্যকর করা হয়। বিগত বছরগুলিতে এর সঠিক প্রয়োগ আমাদেরকে ব্যতিক্রম ও আশাব্যঞ্জক ফল দান করেছে। ফা-লিল্লাহিল-হামদ।​

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ

জামি‘আ দারুল হাদীছ
Kamarjuri
Gazipur, 1704
Bangladesh
info@jamiadarulhadith.com
017 9847 5070
You may send us your concerns by SMS
Just type: JAMIA followed by a Space & your Message then Send to +447418310270